বাংলাদেশ সংবিধান ও ধর্ম

বিগত প্রশ্নঃ ৩৫তম বিসিএস
টিকা লিখুনঃ ধর্মীয় স্বাধীনতা (৩২তম বিসিএস লিখিত)

বাংলাদেশ সংবিধানে চারটি অনুচ্ছেদে ধর্মের কথা আছে।
১ রাষ্ট্র ধর্ম সংবিধানের প্রথমভাগ প্রজাতন্ত্র। এ অংশের ২।ক অনুচ্ছেদে রাষ্ট্র ধর্মের কথা বলা আছে।

“প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন। ”


২ ধর্ম নিরপেক্ষতা সংবিধানের চার মূলনীতির একটি হল ধর্ম নিরপেক্ষতা। এ সম্পর্কে বলা হয়েছে ১২ নম্বর অনুচ্ছেদে।

১২। ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য
(ক) সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা,
(খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান,
(গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার,
(ঘ) কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন, বিলোপ করা হইবে।

৩ ধর্মের কারণে বৈষম্য বিলোপ
২৮। (১) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারীপুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোন নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না।
২৮। (৩) কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে জনসাধারণের কোন বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশের কিংবা কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে কোন নাগরিককে কোনরূপ অক্ষমতা, বাধ্যবাধকতা, বাধা বা শর্তের অধীন করা যাইবে না।

৪ ধর্মীয় স্বাধীনতা
৪১। (১) আইন, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা-সাপেক্ষে

(ক) প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে;
(খ) প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ-সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রহিয়াছে।

(২) কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যোগদানকারী কোন ব্যক্তির নিজস্ব ধর্ম-সংক্রান্ত না হইলে তাঁহাকে কোন ধর্মীয় শিক্ষাগ্রহণ কিংবা কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা উপাসনায় অংশগ্রহণ বা যোগদান করিতে হইবে না।

বর্তমানের মত ৭২ এর সংবিধানেও ধর্ম নিরপেক্ষতার (১২ অনুচ্ছেদ )বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত ছিল। কিন্তু পঞ্চম সংশোধনীতে পরিবর্তন করে ‘মহান আল্লাহতালার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ সংযোজন করা হয়। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ৭২ এর সংবিধানের ‘ধর্ম নিরপেক্ষতা’ মূলনীতি আবার ফিরিয়ে আনা হয়। এ সম্পর্কে বিস্তারিত পড়তে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল চার নীতি এর ধর্ম নিরপেক্ষতা অংশ পড়ে দেখুন।


👉 Read More...👇

Add a Comment