সংবিধানের তফসিল

বিগত সালের BCS Preliminary- তে এখান থেকে প্রশ্ন এসেছে 2 টি।

১ সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ৫৫ ধারাবলে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিলগুলি সংযোজিত। মোট তফসিল ৭টি। (৩৯তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)

প্রথম তফসিল
[৪৭ অনুচ্ছেদ]
অন্যান্য বিধান সত্ত্বেও কার্যকর আইনঃ পূর্ববঙ্গ, পূর্ব পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলের কিছু কিছু আইনের কার্যকারিতা সম্পর্কে।

দ্বিতীয় তফসিল
[দ্বিতীয় তফসিল রাষ্ট্রপতি-নির্বাচন−সংবিধান (চতুর্থ সংশোধন) আইন, ১৯৭৫ (১৯৭৫ সনের ২নং আইন) এর ৩০ ধারাবলে দ্বিতীয় তফসিল বিলুপ্ত।]
কেননা এখন জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয় না।
তৃতীয় তফসিল
[১৪৮ অনুচ্ছেদ]
শপথ ও ঘোষণা
রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করাতেন প্রধান বিচারপতি কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হওয়ার পর থেকে রাষ্ট্রপতিকে শপথ পাঠ করান স্পিকার।

রাষ্ট্রপতি যাদেরকে শপথ পাঠ করান- প্রধান মন্ত্রী ও মন্ত্রী পরিষদ, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার, প্রধান বিচারপতি।

স্পিকার রাষ্ট্রপতি ও সকল সংসদ সদস্যদের শপথ পাঠ করান।

প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের সকল বিচারপতিদের, সকল নির্বাচন কমিশনার, মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য।

চতুর্থ তফসিল
[১৫০(১) অনুচ্ছেদ]
ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী

এ তফসিলের উল্লেখযোগ্য ধারা
গণ পরিষদ ভঙ্গকরণঃ সংবিধান-প্রবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গণপরিষদ ভাঙ্গিয়া যাইবে।

সংবিধান প্রণয়নের পূর্বে যাঁরা বিভিন্ন পদে (রাষ্ট্রপতি, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, প্রধানমন্ত্রী, বিচারপতি, নির্বাচন কমিশনার) অধিষ্ঠিত ছিলেন- সংবিধান রচিত হওয়ার পর যথাযোগ্য নিয়মানুসারে অনুরূপ পদ পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন।

পঞ্চম তফসিল
[১৫০ (২) অনুচ্ছেদ]
১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তারিখে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ (40তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)

পঞ্চম তফসিলের অনুচ্ছেদ ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২ এবং ২৩, সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ (২০১১ সনের ১৪ নং আইন)-এর ৫৪(গ) ধারাবলে বিলুপ্ত। কেননা এই ধারাগুলো ১৯৭৫ এর পর বিভিন্ন সামরিক শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য যুক্ত করা হয়েছিল।

ষষ্ঠ তফসিল
[১৫০ (২) অনুচ্ছেদ]
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
কর্তৃক প্রদত্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্য রাত শেষে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত স্বাধীনতার ঘোষণা (অনূদিত)

“ইহাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছ, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।”
শেখ মুজিবুর রহমান
২৬ মার্চ ১৯৭১

সপ্তম তফসিল
[১৫০ (২) অনুচ্ছেদ]
১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল তারিখে মুজিবনগর সরকারের জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র (অনূদিত) (৪০তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)

প্রস্তাবনা
প্রথম ভাগ- প্রজাতন্ত্র

দ্বিতীয় ভাগ- রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি

তৃতীয় ভাগ- মৌলিক অধিকার

চতুর্থ ভাগ-নির্বাহী বিভাগ

পঞ্চম ভাগ-আইনসভা
১ম পরিচ্ছেদ-সংসদ
২য় পরিচ্ছেদ-আইন প্রনয়ন ও অর্থসংক্রান্ত পদ্ধতি
৩য় পরিচ্ছেদ-অধ্যাদেশপ্রণয়ন-ক্ষমতা

ষষ্ঠ ভাগ- বিচারবিভাগ

সপ্তম ভাগ- নির্বাচন

অষ্টম ভাগ- মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক

নবম ভাগ-বাংলাদেশের কর্মবিভাগ

দশম ভাগ-সংবিধান-সংশোধন

একাদশ ভাগ- বিবিধ

Add a Comment