পত্রের সম্ভাষণ রীতি

যেকোন ব্যক্তিগত পত্রে দুইবার সম্ভাষণ করতে হয়। প্রথমেই পত্রের শুরুতে প্রাপককে সম্বোধন করে সম্ভাষণ করতে হয়। ও শেষে বিদায় সম্ভাষণ করতে হয়। প্রেরক ও প্রাপকের বয়স ও মর্যাদা ভেদে সম্ভাষণ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে-

প্রারম্ভিক সম্ভাষণ
শ্রদ্ধাভাজন পুরুষশ্রদ্ধাভাজনেষু, শ্রদ্ধাস্পদেষু, পরম শ্রদ্ধাস্পদ, মান্যবর, মান্যবরেষু, মাননীয়, মাননোয়েষু ইত্যাতি।
শ্রদ্ধাভাজন মহিলাশ্রদ্ধেয়া, শ্রদ্ধাস্পদাসু, মাননীয়া, মাননীয়াসু ইত্যাদি।
পুরুষ বন্ধুপ্রিয়, সুপ্রিয়, প্রিয় বন্ধু, বন্ধুবরেষু, প্রিয়বরেষু, প্রিয়বর, বন্ধুবর, সুহৃদবরেষু, প্রীতিভাজনেষু ইত্যাদি।
মহিলা বন্ধুপ্রিয়তমা, সুচরিতাসু, প্রীতিনীলয়াসু, সুহৃদয়াসু, প্রীতিভাজনীয়াসু, ইত্যাদি।
সম্ভ্রান্ত ব্যাক্তিমান্যবর, সুধী, সৌম্য ইত্যাদি।
বয়ঃকনিষ্ঠ ছেলেস্নেহের, স্নেহভাজনেষু, কল্যাণীয়, কল্যাণীয়েষু, স্নেহাস্পদেষু, প্রীতিভাজনেষু ইত্যাদি।
বয়ঃকনিষ্ঠ মেয়েস্নেহের, স্নেহভাজনীয়া, কল্যাণীয়া, কল্যাণীয়াসু, স্নেহভাজনীয়াসু ইত্যাদি।
বিদায় সম্ভাষণ
প্রাপক শ্রদ্ধাভাজন, প্রত্রলেখক পুরুষবিনীত, গুণমুগ্ধ, স্নেহধন্য, স্নেহাকাঙ্ক্ষী, প্রীত্যর্থী, প্রীতিধন্য, প্রণত ইত্যাদি।
প্রাপক শ্রদ্ধাভাজন, প্রত্রলেখক মহিলাবিনীতা, গুণমুগ্ধা, স্নেহধন্যা, প্রণতা, সেবিকা, প্রীতিধন্যা, প্রীতিস্নিগ্ধা ইত্যাদি।
প্রাপক অনাত্মীয়া সম্মানিত লোক, লেখক ছেলেবিণিত, নিবেদক, বিনয়াবনত, ভবদীয় ইত্যাদি।
প্রাপক অনাত্মীয়া সম্মানিত লোক, লেখক ছেলেবিনীতা, নিবেদীকা, ভবদীয়া, ইত্যাদি।
প্রাপক প্রিয়ভাজন বা বন্ধু, লেখক পুরুষপ্রীতিধন্য, প্রীতিমুগ্ধ, আপনারই, তোমারই ইত্যাদি।
প্রাপক প্রিয়ভাজন বা বন্ধু, লেখক মহিলাপ্রীতিধন্যা, প্রীতিমুগ্ধা, আপনারই, তোমারই ইত্যাদি।
প্রাপক বয়সে ছোট শুভার্থী, শুভাকাঙ্ক্ষী, আশীর্বাদক/আশীর্বাদিকা, ইত্যাদি

এছাড়াও অপরিচিত সম্মানিত ব্যক্তিকে নিম্নোক্তভাবে সম্ভাষিত করা যায়, এক্ষেত্রে নামের পদবি বা শেষ অংশুটুকু ব্যবহার করা যুক্তিযুক্ত। যেমন-,

খান সাহেব,
চৌধুরী সাহেব,
ডা. রানা
ইকবাল হোসেন
ইত্যাদি ভাবে ব্যবহার করা যায়।

আবেদন পত্রের শুরুতে ব্যবহার করা যেতে পারে। যথা- জনাব, মাননীয়, মান্যবরেষু, মহামান্যবরেষু।

আবেদন পত্রের বিদায় সম্ভাষণেঃ বিনীত, বিনয়াবনত, নিবেদক ইত্যাদি।

আদর প্রকাশে- মামুনি, খালামনি, বাবা সেলিম, বা শুধু আব্বা, আম্মা, আপা, ভাই ইত্যাদি দিয়েও শুরু করা যায়।

Add a Comment