সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী

বিগত সালের BCS Preliminary- তে এখান থেকে প্রশ্ন এসেছে টি।

বাংলাদেশ সংসদের পঞ্চম ও সপ্তম সংসদে বিরোধীদলের আসন ছিল উল্লেখযোগ্য,যেখানে বিরোধী দল শক্তিশালী ভাবে আচরণ করতে পেরেছে। পঞ্চম সংসদে দ্বাদশ সংশোধনী পাস হয়। প্রশ্নাতীত ভাবে বিতর্কের ঊর্ধে থেকে সরকারি ও বিরোধী দলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পাশ হয় এ সংশোধনী।

দ্বাদশ সংশোধনী উত্থাপন করা হয় ২ জুলাই, ১৯৯১। গৃহীত বা সংসদে পাশ হয় ৬ আগস্ট, ১৯৯১। দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ১৭ বছর পর দেশে পুনরায় সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। (২০তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) এতে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা হ্রাস করে বলা হয়, তিনি সংসদ-সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত হবেন এবং স্বাধীনভাবে তিনি দুটি কাজ করতে পারবেন। আর তা হল-
১. অধিকাংশ সংসদ সদস্যগণের আস্থাভাজন ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ।
২. প্রধান বিচারপতি নিয়োগ

এর মাধ্যমে উপরাষ্ট্রপতির পদ বিলুপ্ত হয়, সকল নির্বাহী ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীসভার হাতে ন্যাস্ত হয়। রাষ্ট্রের সকল নির্বাহী কাজ রাষ্ট্রপতির নামে গৃহীত হয়েছে বলে বিধান করা হয়। সংসদের দুটি অধিবেশনের মধ্যকার বিরতি ৬০ দিন নির্ধারণ করা হয। প্রকৃতপক্ষে এ সংশোধনী ছিল জনগণের প্রত্যাশার সাথে সংগতিপূর্ণ।

এ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি এমনভাবে প্রণীত হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মনোনীত ও অনুমোদিত না হলে কোন ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে পারবেন না। তার উপর সংবিধানের ৭০ নং অনুচ্ছেদ প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে। এর মাধ্যমে নির্বাহী ক্ষমতা অত্যাধিক মাত্রায় প্রধানমন্ত্রীর উপর ন্যস্ত হয়েছে। \


👉 Read More...👇

Add a Comment