বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ

বুড়োসালিকের ঘাড়ে রোঁ’ প্রহসনটির জমিদার চরিত্রের পরিচয় দিন। (৩৭তম বিসিএস লিখিত)

১৮৬০ সালে মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচনা করেন দুটি প্রহসন; নাম ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ এবং ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’। সমাজ এবং মানুষকে তীক্ষ্মভাবে আক্রমণ করা হয়েছে প্রহসন দুটিতে । রচনার সময় অবশ্য দ্বিতীয় প্রহসন ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’-এর নাম ছিল ‘ভগ্ন শিব মন্দির’। পরে নাম পরিবর্তন করা হয়।

কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের শ্রেষ্ঠ প্রহসনমূলক নাটক ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’। সমাজের শাসক শোষিতের বৈষ্যমের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নাটকটিতে। নাটকটিতে দেখা যায় জোতদার ভক্তপ্রসাদ সম্পদের পাহাড় গড়েছে রায়তদের শোষণ করে। লাম্পট্য ও কৃপণতার মতো বদগুণ থাকা সত্ত্বেও অর্থের জোরে সে হয় সমাজপতি। গরিব চাষি হানিফের ফসলহানি হলেও সামান্য খাজনায়ও মাফ করে না ভক্তপ্রাসাদ। ফলে কৃষকের সম্বল একখানি জমি গ্রাস করেত দ্বিধা করে না।

এমনকি কৃপণ ভক্তপ্রাসাদ পুরোহিত বাচস্পতির মা মারা গেলেও তার মাতৃদায় হতে মুক্ত হওয়ার জন্য পাঁচ টাকার বেশি সাহায্য করতে সে নারাজ। এ হেন ভণ্ড নরাধম ভক্তপ্রসাদকেও জব্দ করা যায় কীভাবে তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নাটকটিতে।

Add a Comment