ডাক ও খনার বচন

বিগত সালের BCS Preliminary- তে এখান থেকে প্রশ্ন এসেছে টি।

খনার বচন বিশেষ অর্থবোধক বাক্য বা উক্তি। ইংরেজি saying, proverb কিংবা বাংলা প্রবাদ শব্দ অনেকটা এর সমার্থক, কিন্তু বচনের তাৎপর্য আরও ব্যাপক ও ভিন্ন। শুভাশুভ, বিধিবিধান, নীতি ও উপদেশবাচক প্রতিপাল্য প্রাজ্ঞোক্তিই সাধারণ অর্থে বচন, যেমন গুরুর বচন, মহাপুরুষের বচন ইত্যাদি। বাংলায় ডাক ও খনার উক্তি বচনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ডাকের বচন ‘ডাকের কথা’ বা ‘ডাক পুরুষের কথা’ নামেও পরিচিত। ডাক তাঁর বচনকে ‘ডাকর কথা’ বলেছেন, চাকমা ভাষায় যা ‘দাগর কধা’ নামে পরিচিত।

খনা কে?
‘খনার বচন’ রচয়িতার প্রকৃত নাম লীলাবতী; লীলাবতী আর্যার প্রণেতা ও খনা একই ব্যক্তি। তবে ডাক নামে কোণ ব্যক্তি ছিল কী না, তা জানা যায় না। তাই বলা যায় ডাক সাধারণ মানুষের সৃষ্টি। ডাক কিংবা খনার বচনের কোনটিরই লিখিত রূপ নেই। এগুলো লোকমুখেই প্রচলিত।

ডাকের বচনে সাধারণত জ্যোতিষ ও ক্ষেত্রতত্ত্ব ও মানব চরিত্রের ব্যাখ্যা প্রাধান্য পেয়েছে। অপর দিকে খনার বচনে কৃষি ও আবহাওয়ার কথা প্রাধান্য পেয়েছে। যেমন-

  • কৃষিকাজের প্রথা ও কুসংস্কার
  • কৃষিকাজ ফলিত ও জ্যোতির্বিজ্ঞান
  • আবহাওয়া জ্ঞান
  • শস্যের যত্ন সম্পর্কিত উপদেশ

কৃষি, আবহাওয়া বা জ্যোতির্বিজ্ঞান যে সম্পর্কিতই হোক না কেন খনার বচনগুলোর মূল উদ্দেশ্য ছিল সমাজ ও মানুষের মঙ্গল কামনা করা। (৩৯তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)

  • ডাক ও খনার বচনের বৈশিষ্ঠ লিখুন। (২৯তম বিসিএস লিখিত)

Add a Comment