চর্যাপদের যুগে নারীরা খুব স্বাধীন ছিলেন বলে জানা যায়। তারা স্বেচ্ছায় সঙ্গী ও পেশা নির্বাচনের অধিকার রাখতেন। কুক্করীপা গৃহবধূর ছল করা নিয়ে বলেছেন, “সে দিনের বেলায় কাকের ডাকে
চর্যার পদগুলি প্রধানত পয়ার ও ত্রিপদী পদে রচিত। এতে মাত্রাছন্দের প্রভাবও দেখা যায়। ১৬ মাত্রার পাদাকুলক ছন্দের ব্যবহারই এখানে বেশি। তবে সর্বত্র নির্দিষ্ট মাত্রারীতি দেখা যায়নি। ছন্দপংক্তির পর্বসংখ্যাগত
চর্যাপদে নিম্নবর্গীয় মানুষের যে পরিচয় পাওয়া যায় তার বিবরণ দিন। চর্যাপদে চিত্রিত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পরিচয় দিন। চর্যাগীতিতে ব্যবহৃত উপমা ও রূপকল্পগুলি তৎকালীন বাংলার সমাজজীবন, পরিবারজীবন ও প্রাকৃতিক উপাদান
চর্যাপদের ধর্মমত সম্পর্কে ধারণা দিন। সিদ্ধাচার্যগণ অসামান্য কবিত্বশক্তির অধিকারী হলেও তাঁরা মূলত ছিলেন সাধক। বৌদ্ধ সহজযানী চিন্তা, দর্শন ও সাধনপদ্ধতিই তাই চর্যাপদের উপজীব্য হয়ে ওঠে। এই সহজযানী দর্শন
ভাষাতত্ত্ব প্রাচীন বাংলার ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যগুলির সন্ধানে প্রাকৃত বাংলায় রচিত চর্যাপদ একটি মূল্যবান উপাদান। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রথম এই বৈশিষ্ট্যগুলি নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা করেন তাঁর The Origin
মূলকথাঃ যদিও চর্যাপদের ভাষায় ৫টি ভাষার মিশ্রণ পরিলক্ষিত হয় – বাংলা, হিন্দি, মৈথিলী, অসমীয়া ও উড়িয়া। চর্যাপদের ভাষা বাংলা ভাষার অদ্যাবধি আবিষ্কৃত আদিতম রূপ। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে ডক্টর সুনীতিকুমার
মূলকথাঃ ৫১টি পদের মধ্যে টীকাকার মুণিদত্ত ৫০ টি পদের টীকা প্রদান করেন। চর্যার ২৩ নম্বর পদের অর্ধেক, ২৪, ২৫, ও ৪৮ নম্বর পদ একেবারেই পাওয়া যায়নি। তাই হরপ্রসাদ
চর্যার রচনার সময়কাল নিয়েও ইতিহাস গবেষকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ও প্রবোধচন্দ্র বাগচীর মতে চর্যার পদগুলি খ্রিস্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর(৯৫০-১২০০) মধ্যবর্তী সময়ে রচিত। কিন্তু ডক্টর মুহম্মদ
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন কী? এটি কে, কখন, কোথায় আবিষ্কার করেন? বাংলায় মুসলমান আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হবার আগে ব্রাহ্মণ্য হিন্দুসমাজের পীড়নের আশঙ্কায় বাংলার বৌদ্ধগণ তাঁদের ধর্মীয় পুঁথিপত্র নিয়ে শিষ্যদেরকে