লিপ সেকেন্ড

“লিপ ইয়ার কি?” আমরা তা সকলে জানি। কিন্তু “লিপ সেকেন্ড” বলেও যে কিছু একটা আছে তা কি আমরা জানি? হয়ত অনেকেই নামটাই শুনিনি!

লিপ সেকেন্ডঃ ১টি অতিরিক্ত সেকেন্ড যোগ করা বা ১ সেকেন্ড বিয়োগ করাটাই লিপ সেকেন্ড নামে পরিচিত। হয়ত, অনেকেই ভাবছো, যোগ না হয় বুঝলাম কিন্তু বিয়োগটা আবার কি?

পৃথিবীর গতি ক্রমশ হ্রাস হচ্ছে। আর একারণেই প্রতি সৌর দিনে দুই মিলিসেকেন্ডে সময় কমে যাচ্ছে। ফলে ১ সেকেন্ড হিসাবের গরমিল হচ্ছে। ফলে দেখা যায় যে কখনও একটি সেকেন্ড বেড়ে যায় আবার কখনও একটি সেকেন্ড কমে যায়, তাই হিসাব মিলাতে ১ সেকেন্ড যোগ বা বিয়োগ করতে হয়। ১টি সেকেন্ড যোগ করা হলে পজিটিভ লিপ সেকেন্ড আর বিয়োগ করা হলে নেগেটিভ লিপ সেকেন্ড বলা হয়।

যে ভাবে সেকেন্ডটা যোগ করা হয়- 23:59:59 এর পর 00:00:00 হলে পরবর্তি দিন শুরু হয়, কিন্তু লিপ সেকেন্ডার ক্ষেত্রে যেমন- ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর 23:59:59 এর পর সরাসরি 00:00:00 না হয়ে এক সেকেন্ড পর 23:59:60 তারপর 00:00:00 হলে নতুন দিন শুরু হয়। এখানে প্রকৃত পক্ষে ৬১ সেকেন্ড অতিবাহিত হয়। এই অতিরিক্ত ১ সেকেন্ড যোগ করাটাই লিপ সেকেন্ড। ১৯৭২ সালে থেকে এই লিপ সেকেন্ড গণনা শুরু করা হয়। এছাড়া ২০১২ সালে ৩০ জুন, ২০১৫ সালের ৩০ জুন এবং ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর এক সেকেন্ড যোগ করা হয়। এটি একটি অনিয়মিত ঘটনা, আগে থেকে বুঝা যায় না। কোনো একটি নির্দিষ্ট বছরের সাধারণত ছয় মাস পূর্বে International Earth Rotation and Reference Systems Service (IERS) সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে উক্ত বছরে সময় অ্যাডজাস্টমেন্টের জন্য সেকেন্ড যোগ করতে হবে, না বিয়োগ!

Add a Comment