প্রোগ্রামং ল্যাংগুয়েজের স্তর(Language Level)

প্রোগ্রামং ল্যাংগুয়েজের স্তর ১৯৪৫ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত কয়েকশত প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ বা ভাষা আবিষ্কৃত হয়েছে। এগুলো পাঁচটি প্রজন্মে বিভক্ত। যথা:

প্রথম প্রজন্ম বা ফাস্ট জেনারেশন ভাষা (১৯৪৫):

মেশিন ভাষাঃ মেশিন ভাষা কম্পিউটারের প্রথম প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। এ ভাষায় বাইনারি বা দ্বিমিক সংখ্যা ব্যাবহার করে প্রোগ্রাম লিখতে হত। অর্থাৎ প্রোগ্রাম বা কোড হত কতগুলো ১ ও ০ এর স্ট্রিং।


দ্বিতীয় প্রজন্ম বা সেকেন্ড জেনারেশন ভাষা (১৯৫০):

যেমন অ্যাসেম্বলি ভাষা। এ ভাষায় কোড লেখা হয় বিভিন্ন রেজিস্টার ও পোর্ট কে আড্রেস করে। যেমন ADD 12,8
Assembler নামে একটি Software অ্যাসেম্বলি ভাষাকে মেশিনের ভাষায় রূপান্তর করে।

তৃতীয় প্রজন্ম বা থার্ড জেনারেশন ভাষা (১৯৬০):
উচ্চতর বা হাই লেভেল ভাষা, এ ভাষায় প্রোগ্রাম লেখা যায় নিম্নরূপে
if(Marks>80){
Show_on_Display(“You Got A+”);
}

দেখা যাচ্ছে যে এ প্রজন্মের ভাষা অনেক গাণিতিক সুত্রের মত। এই ভাষা কে মেশিনের ভাষায় রুপান্তর করার জন্য দ্বিতীয় প্রজন্মের Assembler এর মত এখানে Compiler অথবা Interpreter ব্যাবহার করা হয়। এই কম্পাইলার/ইন্টারপ্রিটার উচ্চতর বা High Level Language কে মেশিনের ভাষায় অর্থাৎ 1010(বাইনারি সংখ্যায়) রুপান্তর করে। জাভা প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে এই রুপান্তরিত কোডকে বাইটকোড(Bytecode) বলে। উদাহরণঃ Visual Basic, python, Java, C, C++, C#, JavaScript, ALGOL, COBOL etc.

4GL(Fourth Generation Language)
কম্পিউটারে ব্যবহৃত বিশেষ কয়েকটি ভাষাকে 4GL বলে। এ প্রজন্মের ভাষা কে অতি উঁচু স্তরের ভাষা(Very High Level Language) বলে। পুঙ্খানুপঙ্খ বিস্তারিতভাবে প্রক্রিয়াকরণের বর্ণনা দিতে হয় না বলে চতুর্থ প্রজন্মের ভাষাকে নানপ্রসিডিউলার ল্যাংগুয়েজও বলা হয়।এ প্রজন্মের ভাষা ব্যবহার করে সহজেই অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম তৈরি করা যায় বলে একে র‍্যাপিড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট (RAD) টুল বলা হয়। অধিকাংশ চতুর্থ প্রজন্মের ভাষায় কথোপকথন রীতিতে প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমে কম্পিউটারের সাথে ব্যবহারকারীর যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকে। এই প্রজন্মের ভাষা গুলো সাধারনত Database এর ক্ষেত্রে Query languages হিসাবে, Report generators, Applications generators. হিসাবে ব্যাবহার করা হয়।
যেমনঃ SHOW ALL THE Students WHO SCORED ABOVE 80. দেখা যাচ্ছে যে এই প্রজন্মের ভাষা অনেকটাই স্বাভাবিক কথাবার্তার মত। উদাহরণঃ SQL,Oracle Report, CSS, Haskell, Python, Ruby, PHP, Perl etc.

5GL – Fifth Generation Language
পঞ্চম প্রজন্মের ভাষাগুলোর মেইন টার্গেট হল, কম্পিউটার কে মানুষের ভাষা বুঝানো। বাইনারি কোড বা মেশিন কোড, গাণিতিক ফরমুলা ইত্যাদি ব্যতিরেকে মানুষ যাতে কমিউটারকে নিজের ভাষায় ইনপুট দিতে পারে। এবং কম্পিউটার ও সে ভাষা বুঝে তদানুযায়ী কাজ করবে। বিভিন্ন এক্সপার্ট সিস্টেম, রোবটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা(Artificial Intelligence) ইত্যাদি তে Fifth Generation Language ব্যাবহার করা হচ্ছে। পঞ্চম প্রজন্মের কিছু ভাষা যেমনঃ Lisp, Prolog, OPS5, Mercury ইত্যাদি।

Natural Language
ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ দু প্রকার। একটি হলো মানুষের ভাষা যেমন – বাংলা, ইংরেজি, আরবি, স্প্যানিস ইত্যাদি এবং অন্যটি হলো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ যা মানুষের ভাষা ব্যবহার করে কম্পিউটারের সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি করে।
ন্যাচারাল ল্যাংগুয়েজ সাধারণত অনেকটা ইংরেজি অথবা মানুষের ভাষার মত। মানুষের ভাষার মত স্বাভাবিক ভাষা কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য এখনও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এ ধরনের ভাষাকে মেশিনের ভাষায় রূপান্তরের জন্য ব্যবহৃত অনুবাদককে বুদ্ধিমান বা ইনটেলিজেন্ট কম্পাইলার বলা হয়। এটি মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়ােগের একটি ক্ষেত্র।

কম্পিউটারের সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্য সম্পাদনের অনুক্রমে সাজানো নির্দেশাবলিকে বলা হয়- সফটওয়্যার, প্রোগ্রাম, অপারেটিং সিস্টেম, হার্ডওয়্যার
First programming language- c++, ADA, FORTRAN, PASCAL. মেশিনের ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামকে বলা হয়- অবজেক্ট প্রোগ্রাম, কম্পাইলার, ডেটাবেস, এসেম্বলি

Add a Comment