Mobile Display

বিভন্ন মাত্রিক ডিস্‌প্লে
আমরা সাধারণত যে সব ডিস্‌প্লে ব্যবহার করি সেগুলো সবই দ্বি-মাত্রিক বা Two Dimensional ডিস্‌প্লে । যেমন CRT, LED, LCD, TFT, OLED, AMOLED, Ratina ইত্যাদি। আবার কিছু কিছু ডিস্‌প্লে আছে যেগুলো ত্রিমাত্রিক তথা Three Dimensional Display. যেমন- Emissive volume display, Laser display, Holographic display, Light field displays ইত্যাদি।

Flat Panel Display
যে সব ডিস্‌প্লে টেলিভিশনের মত বড় আয়তনের বা ওজনের নয়, চিকন ও সমতল আয়তাকার আকৃতির হয় সেগুলোকেই Flat Panel Display বলে। যেমন LED, LCD ইত্যাদি। এখন সর্বত্রই CRT এর পরিবর্তে Flat Panel Display ব্যবহার করা হচ্ছে।

CRT
Cathod Ray Tube(CRT)- TV এর মত দেখতে আগে যে সব কম্পিউটার মনিটর ব্যবহার করা হত সেগুলই CRT ডিস্‌প্লে । এতে তিন রঙের জন্য(Red, Green, Blue) তিনটি ইলেক্ট্রন গান(বন্দুকের মত) ব্যবহার করা হয়। এ সব ইলেক্ট্রন গান ইলেক্ট্রন নিক্ষেপ করে একটি ফসফরাসের পর্দার উপর। Red, Green, Blue গানের ইলেক্ট্রন নিক্ষেপের তীব্রতার উপর ভিত্তি করে ফসফরাসের পর্দার উপর একটি Combine রঙের ও তীব্রতার আলোক সৃষ্টি হয়। Raster নামক একধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে CRT মনিটরের পর্দা স্ক্যান করে, ভিডিও বা ছবি প্রদর্শন করা হয়। এগুলো অনেক ভারী হয় ও বিদ্যুৎ বেশি খরচ হয়।

Segment display
এই ডিস্‌প্লে গুলো LED অথবা LCD দিয়ে তৈরী হয়। সাধারণত এতে ৭ টি অংশ থাকে তাই একে Seven Segment Display বলে। যে সব ক্ষেত্রে বিশেষ করে সংখ্যা প্রকাশ করা হয় সে গুলোতে Segment display ব্যবহার করা হয়। যেমন ডিজিটাল ঘড়ি, পকেট ক্যাল্কুলেটর ইত্যাদি।

LCD
LCD ডিস্‌প্লে র পিছনে আলক উৎস থাকে যাতে পর্দার প্রত্যেকটি পিক্সেলকে আলকিত করে দর্শনীয় করতে পারে। ন্যূনতম দর্শন কোণ (Optimum narrow viewing angle)অনেক কম। অর্থাৎ ডিস্‌প্লে র সাথে সোজাসুজি বসতে হয়। বাঁকা হয়ে দেখার চেষ্টা করলে নেগেটিভের মত দেখা যায়।

TFT-LCD
বহুল ব্যবহৃত একটি ডিস্লে হলো TFT-LCD. যার পূর্ণ অর্থ – Thin Film Transistor Liquid Crystal Display. এটি LCD এর থেকে উন্নতর।

IPS-LCD
In-Place Switching Liquid Crystal Display(IPS-LCD)– যদি TFT-LCDIPS-LCD এর মধ্যে তুলনা করা হয় তাহলে TFT-LCD এর চাইতে IPS-LCD অনেক ভাল ও উন্নত ডিস্‌প্লে হিসাবে পাওয়া যাবে।

টাচ স্ক্রিন LCD
টাচ স্ক্রিন LCD দুই ধরনের হয়। Resistive Touchscreen LCDCapacitive Touchsceen LCD.

Resistive Touchscreen LCD
এতে পরিবাহী পদার্থের(Conductive Material) দুটি স্তর থাকে যাদের মাঝে একটু ফাঁকা জায়গা থেকে। এই ফাঁকা জায়গাটি রোধ(Registor) হিসাবে ব্যবহৃত হয়। যখন এদের উপর হাতের নখ অথবা Stylus দিয়ে চাপ দেওয়া হয় তখন পরিবাহী দুটি ফাঁকা জায়গাকে অতিক্রম করে পরস্পরের সংস্পর্শে আসে ও বর্তনী(Circuit) সম্পূর্ণ করে ও টাচকে মোবাইলের প্রসেসরে প্রসেস করে। এ প্রযুক্তি কমদামি ফোনে ব্যবহার হয় কেননা, এটার কর্মদক্ষতা বেশি নিখুঁত নয়। মাল্টি টাচের সুবিধা নেই।

Capacitive Touchsceen LCD
এ প্রযুক্তিতে একটি কাঁচ, স্বচ্ছ কোন পরিবাহী(Transparent Conductor) দ্বারা আবৃত থাকে যেটি ধারক(Capacitor) হিসাবে কাজ করে। এই ধারকের চার্জগুলো স্থির তরিৎ ক্ষেতে(Electrostatic field) তৈরি করে। যখন এতে আঙ্গুলের ডগা দিয়ে চাপ দেওয়া হয়, এই ধারকের স্থির তরিতের পরিবর্তন হয়। যা মোবাইল প্রসেসর বুঝতে পারে। Resistive Touchscreen LCD-এর চাইতে এটি অনেক বেশী সংবেদনশীল। এতে মাল্টি টাচের সুবিধা আছে।

LED
নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এই ডিস্‌প্লে গুলো Light Emitting Diode ব্যবহার করে। যেহেতু ডায়ড নিজেই আলো তৈরই করতে পারে তাইর Quality, LCD এর চেয়ে ভাল। এটি LCD এর তুলনায় অনেক উজ্জ্বল, Optimum narrow viewing angle বেশি, বিদ্যুৎ খরচ কম। সূর্যের আলো থাকে এমন সব জায়গায় যেমন পাবলিক পরিবহণে, বিলবোর্ডে LED ব্যবহার বেশি উপযোগী।

OLED
Organic Light Emitting Diode-(OLED) এই ডিস্‌প্লের সামনে অর্গানিক বা জৈব কথাটি আছে এ জন্য যে এতে একটি কার্বনের বেজকে দুটি পরিবাহী পাত দিয়ে স্যান্ডউইচ তৈরী করা হয়। পাত দুটি অ্যানোড ও ক্যাথোড হিসাবে কাজ করে। এই তিনটি পাতকে দুটি কাঁচের পাত দিয়ে আবার স্যান্ডউইচ করা হয়। যখন পরিবাহী পাতদুটিতে বিদ্যুৎ চালনা করা হয়। তখন আলো উৎপন্ন হয়। iPhone-10 এ এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এটি LED ও বিশেষ করে LCD থেকে অনেক উন্নত। উদাহরণ হিসাবে নিম্বোক্ত বৈশিষ্টগুলো উল্লেখ করা যায়- exceptional color reproduction, blazing fast response times, wider viewing angles, higher brightness and extremely light weight designs.

AMOLED
Active-Matrix Organic Light-Emitting Diode(AMOLED) এক বিশেষ ধরনের OLED. OLED এর সকল বৈশিষ্টই এর আছে। স্মার্ট ফোনগুলোতে এটি এখন বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে।

Super AMOLED
AMOLED এর চেয়ে উন্নত সংস্করণের নাম Super AMOLED.

VGA
Video Graphics Array(VGA)– ১৯৮৭ সালে IBM কর্তৃক উদ্ভাবিত একটি জনপ্রিয় ডিস্‌প্লে প্রযুক্তি। যার রেজুলেশন 640 x480, এবং ২৫৬ টি কালার দিতে পারে।
Quarter Video Graphics Array(QVGA) যেখানে VGA রেজুলেশনের এক-চতূর্থাংশ(Quarter) ব্যবহার করা হয়। (সম্ভবত দুই Quarter ব্যবহার করা হয়।)
WQVGA এর W এর মানে হল Wide, যে সকল QVGA ডিস্‌প্লে র হাইট একই থাকে কিন্তু ওয়াইড বেশি হয় সেখানে WQVGA ব্যবহার হয়।
HVGA– অর্থাৎ Half VGA.

Samsung Galaxy S2 তে ব্যবহার করা হয়েছে Super AMOLED Plus. যা Super AMOLED থেকে ও উন্নত।

Retina Display
অত্যন্ত সুক্ষ্ণ ও উজ্জ্বল একটি ডিস্‌প্লে Retina Display. Retina Display কথাটি প্রচলনে করে Apple. Apple এটি প্রথম iPhone-4 এ ব্যবহার করে। Retina Display নামটি এ জন্য করা হয়েছে যে খোলা চোখে এর পিক্সেলগুলো আলাদা করা যায় না।

Gorilla Glass
ক্ষতি (Damage) প্রতিরোধকারী এক ধরনের বিশেষ গ্লাস। যা বিভিন্ন স্ক্রাচ, দাগ, কাঁটা-ছেঁড়া ইত্যাদি থেকে মোবাইলের স্ক্রিনকে রক্ষা করে দীর্ঘস্থায়ী করে।

Add a Comment