সাতক্ষিরা জেলা

পূর্ব নামঃ সাতঘরিয়া। প্রাচীনকালে খ্যাত ছিল বুড়ন দ্বীপ নামে।

অবস্থানঃ সাতক্ষীরা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।

উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিত্বঃ খানবাহাদুর আহছানউল্লা – (সমাজ সেবক ), বিশিষ্ট সাহিত্যিক মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী ও সিকান্দার আবু জাফর(সম্পাদক সমকাল প্রকাশ) , প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন ও নীলুফার ইয়াসমিন, ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকার, প্রথম নারী পাইলট- শাহরিন বিনতে আনোয়ার

দর্শনীয় স্থানঃ টাকীর ঘাট (ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত চিহ্নিত ইছামতি নদীর তীরে), মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট, লিমপিড বোটানিক্যার গার্ডেন, রুপসী দেবহাটা ম্যানগ্রোভ পর্যটন কেন্দ্র।

নদ-নদীঃ যমুনা, কালিন্দী, অর্পণগাছিয়া, মালঞ্চ, কপোতাক্ষ, রায়মঙ্গল, বেত্রবতী (বেতনা), হাড়িয়াভাঙ্গা, ইছামতি

অন্যান্য তথ্যঃ বারোভূঁইয়াদের অন্যতম রাজা প্রতাপাদিত্যের রাজধানী এ জেলার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর এলাকায়।

১৯৭০ সালে প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ের পর বঙ্গোপসাগরে তালপট্টি নামে একটি দ্বীপ জেগে ওঠে। এটি বাংলাদেশের গঙ্গার স্রোতধারা হিসেবে পরিচিত হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মুখ থেকে দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ১৯৭১ সালের মাঝামাঝি সময়ে দ্বীপটির অভ্যুদয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়। ভারত নতুন জেগে ওঠা দ্বীপটিকে ‘নিউমুর দ্বীপ’ (The New Moore Island) নামে চিহ্নিত করে। সে সময় পশ্চিমবঙ্গে দ্বীপটিকে কখনও ‘নিউমুর’ আবার কখনও ‘পূর্বাশা’ নামে অভিহিত করা হতো। ১৯৭৪ সালে আমেরিকান স্যাটেলাইটে প্রথম বঙ্গোসাগরে ধরা পড়ে দাক্ষিণ তলপট্টির অস্তিত্ব।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এটি ২য় শত্রুমুক্ত জেলা

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উপজেলা সাতক্ষীরার শ্যামনগর।

একটা দেশের মোট আয়তনের ২৫% বন থাকা উচিত । বাংলাদেশের ৭টি জেলার মধ্যে আমার সাতক্ষীরা একটি।

সাতক্ষীরা বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুধ উৎপাদনকারী জেলা। সাতক্ষী্রা জেলার তালা উপজেলার ‘জিয়ালা গ্রাম’ বাংলাদেশের দুধের গ্রাম হিসেবে সম্প্রতি স্বীকৃতি পেয়েছে।

<- চাঁদপুর
কুষ্টিয়া ->