খাগড়াছড়ি জেলা

পূর্ব নামঃ খাগড়াছড়ি একটি নদীর নাম। নদীর পাড়ে খাগড়া বন থাকায় পরবর্তী কালে তা পরিষ্কার করে জনবসতি গড়ে উঠে, ফলে তখন থেকেই এটি খাগড়াছড়ি নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৭০০ সালে এই এলাকাটি কার্পাস মহাল নামে পরিচিত ছিল। তৎকালিন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোঃ এর সাথে একযুদ্ধে পরাজিত হয়ে কার্পাস তুলা ট্যাক্স হিসাবে দিতে হতো বলে এরূপ নামকরণ করা হয়েছিল।

অপরুপ সৌন্দর্যের অধিকারী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা। এখানে রয়েছে অসম্ভব সুন্দর সব পর্যটন কেন্দ্র, যা দেখার জন্য বছরে প্রায় পতিদিনই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। আর তাই এ জেলাকে প্রকৃতির রাণী বলা হয়।

উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিত্বঃ

  • ওয়াদুদ ভূইয়া: সাবেক সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান

খনিজ পদার্থঃ সিমুতাং গ্যাসফিল্ড, মানিকছড়ি

দর্শনীয় স্থানঃ

  • আলুটিলা গুহাঃ সমুদ্র সমতল হতে ৩০০০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট আলুটিলা বা আরবারী পাহাড়ে আলুটিলা গুহা অবস্থিত। স্থানীয়রা একে বলে মাতাই হাকড় বা দেবতার গুহা। এটি খাগড়াছড়ির একটি নামকরা পর্যটন কেন্দ্র।
  • আলুটিলার ঝর্ণা বা রিছাং ঝর্ণা । মারমা ভাষায় এর নাম রিছাং ঝর্ণা, ‘রি’ শব্দের অর্থ পানি আর ‘ছাং’ শব্দের অর্থ গড়িয়ে পড়া।
  • দেবতা পুকুরঃ সমুদ্র সমতল হতে প্রায় ১০০০ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের চূড়ায় দেবতার পুকুর রূপকথার দেবতার আর্শীবাদের মতো সলিল বারির স্রোতহীন সঞ্চার।
  • রামগড় – বর্তমান বিজিবি হেডকোয়ার্টার
  • পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের খামার
  • হালদা ভেলি (২৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)

উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানঃ পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র

নদ-নদীঃ চেঙ্গী, মাইনী, ফেণী

<- লক্ষীপুর
ফেনী ->