সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী

১৯৭৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় সংশোধনী আনা হয়। যার মাধ্যমে সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদে-

  • ২৬-মৌলিক অধিকারের সহিত অসমঞ্জস আইন বাতিল, দ্বিতীয় সংশোধনীতে কারও মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন হলে মামলা করার অধিকার রোহিত করা হয়।
  • ৬৩-সংসদের অনুমতি ব্যতীত যুদ্ধ ঘোষণা করা যাবে না। কিন্তু দ্বিতীয় সংশোধনীতে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারতেন।
  • ৭২- সংসদ অধিবেশনঃ কমপক্ষে ৬০ দিনের পরিবর্তে ১২০ দিনের মধ্যে সংসদ অধিবেশন আহ্বান করার বিধান করা হয়।

নিবর্তনমূলক আটক, জরুরী অবস্থা ঘোষণা ও এ সময় মৌলিক অধিকারগুলো স্থগিতকরণ সম্পর্কে প্রথমদিকে সংবিধানে কোন বিধান ছিল না। এ সংশোধনীর মাধ্যমে বিধানগুলো সংযোজন করা হয়। অভ্যন্তরীণ গোলযোগ বা বহিরাক্রমনে দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক জীবন বাধাগ্রস্ত হলে “জরুরি অবস্থা” ঘোষণার বিধান করা হয়।

নির্বাহী বিভাগকে নিবর্তন মূলক আটক আইনের অধীনে যে কোন ব্যক্তিকে বিনা বিচারে ৬ মাস আটক রাখার সাংবিধানিক অধিকার দেওয়া হয়।

জরুরী অবস্থা চলাকালীন সময়ে মৌলিক অধিকারগুলোকে স্থগিত করা হয়েছে। আর এ নিয়ে জনগণ যাতে আদালতে মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্নের মামলা করতে না পারে তাঁর বিধান ও রাখা হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে এ সংশোধনীতে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও সংবিধানের ‘মৌলিক অধিকার চরিত্র’ খর্ব করা হয়েছে। তাই এটি ছিল সংবিধানের মৌলিক কাঠামোগত সংশোধনী।
🡸 সংবিধানের প্রথম সংশোধনী–> সংবিধানের তৃতীয় সংশোধনী 🡺