ফররুখ আহমদ

ফররুখ আহমদের কবিতায় বাংলার অধঃপতিত মুসলিম সমাজের পুনর্জাগরণের অণুপ্রেরণা প্রকাশ পেয়েছে। এই বাঙ্গালী কবি ‘মুসলিম রেনেসাঁর কবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তিনি ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই জুন মাগুরা জেলার মাঝআইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা খান সাবের সৈয়দ হাতেম আলী। ফররুখ আহমদ কলকাতা রিপন কলেজ থেকে আইএ পাস করেন এবং কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে দর্শনে অনার্স ও ইংরেজিতে অনার্সের ছাত্র ছিলেন। কিন্তু পরীক্ষা না দিয়েই কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। কর্মজীবনে তিনি নানা পদে নিয়োজিত হন এবং ১৯৪৭ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বেতারে স্টাফ রাইটার পদে নিয়োজিত ছিলেন। ইসলামি আদর্শ ও ঐতিহ্য তাঁকে কাব্যসৃষ্টিতে প্রেরণা যুগিয়েছে।

তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থঃ সাত সাগরের মাঝি, সিরাজাম মুনীরা, নৌফেল ও হাতেম (কাব্যনাট্য), মুহূর্তের কবিতা, ধোলাই কাব্য, হাতেম তায়ী (কাহিনীকাব্য), নতুন লেখা, কাফেলা, হাবিদা মরুর কাহিনী, সিন্দাবাদ, দিলরুবা।

শিশুতোষ গ্রন্থঃ পাখির বাসা, হরফের ছড়া, চাঁদের আসর, ছড়ার আসর, ফুলের জলসা।

সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার, আদমজী পুরস্কার, একুশে পদকসহ (মরণোত্তর) অনেক পুরস্কারে ভূষিত হন।
১৯৭৪ সালের ১৯শে অক্টোবর তিনি পরলোকগমন করেন।