ভাবসম্প্রসারণ(Amplification)

একটি ছোট অংশকে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করাকে ভাবসম্প্রসারণ বলে। এতে আলোচ্য অংশের অন্তর্নিহিত ভাব-ব্যাঞ্জনাকে প্রয়োজনীয় যুক্তি, ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ও উপমার সাহায্যে প্রকাশ করা হয়।

কমন পাওয়ার জন্য অনেক ভাব-সম্প্রসারণ পড়লেন বা মুখস্ত করলেন। তারপরও যে কমন পাবেন এমনটি নিশ্চয় করে বলা যায় না। তাই সাবলিলভাবে ভাবকে সম্প্রসারণ করতে নিচের কথাগুলো মনে রাখা সহায়ক হবে।

  • প্রথমে প্রদত্ত অংশটুকু ভালভাবে পড়তে হবে। অংশটুকু বুঝতে পারলে বাকি কাজ অনেক সহজে করা যাবে।
  • ভাব-সম্প্রসারণ এক অনুচ্ছেদে হতে পারে, তবে ২-৩ অনুচ্ছেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকাই শ্রেয়।
  • সেক্ষেত্রে ১. মূলভাব ২. সম্প্রসারিত ভাব ও ৩. উপসংহার এই তিন অংশে ভাগ করে লেখাই শ্রেয়।
  • অধিকাংশ বিষয়ের দুই ধরনের অর্থ থাকে। শাব্দিক অর্থ ও অন্তর্নিহিত অর্থ। তাই শাব্দিক অর্থকে ব্যাখ্যা করে অন্তর্নিহিত অর্থের তাৎপর্য ব্যাখা করা উচিৎ। মূল বক্তব্যকে স্পষ্ট করার জন্য উদাহরণ-উপমা দেওয়া যেতে পারে। তবে উপমা অবশ্যই মূল বক্তব্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।
  • আলোচ্য অংশ মানব জীবনের যে ক্ষেত্রে প্রজোয্য তা সার্থকভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে।
  • উদ্ধৃত অংশে ব্যবহৃত শব্দগুলো যে ভাবের অনুষঙ্গ সৃষ্টি করেছে সেগুলোকে সম্প্রসারিত করা।
  • ‘কবি বলেছেন’ বা ‘কবির বক্তব্য হল’ এধরনের পদবদ্ধ ব্যবহার না করা।
  • প্রাসঙ্গিক হলে ঐতিহাসিক, পৌরাণিক, বা বৈজ্ঞানিক তথ্য উল্লেখ করা যেতে পারে।
  • অপ্রয়োজনীয় কথা ও কথার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
  • কোনটি বাড়তি তথ্য ও কোনটি আপনার অভিমত, পড়া মাত্র যেন এদুইয়ের পার্থক্য বোঝা যায়। নচেৎ ভুল বোঝার সম্ভাবনা থাকে।
  • বক্তব্য যেন দৃঢ়বদ্ধ হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বাক্যের সাথে বাক্যের ও অনুচ্ছেদের সাথে অনুচ্ছেদের সম্পর্ক ঘটাতে হবে, সঙ্গতি রাখতে হবে। নাহলে বক্তব্যের স্বাভাবিক চলন ব্যাহত হবে। অর্থাৎ এমনভাবে লিখতে হবে যাতে ভাবের স্বয়ংসম্পূর্ণতা বিদ্যমান থাকে।
  • সব সময় একই দৈর্ঘ্যের বাক্য ব্যবহার না করা। এতে এক ঘেয়ামি চলে আসে। একই অনুচ্ছেদে একই সাথে কর্তৃবাচ্য ও ভাববাচ্য ব্যবহার না করা।
  • বাজার থেকে যেকোন একটি বই নিয়ে, উদ্ধৃত অংশটুকু বুঝে বুঝে পড়তে পারেন। আর সময় থাকলে সম্পূর্ণই পড়েফেলতে পারেন।

Add a Comment