প্রবাদ-প্রবচন ৭/৭

যেমন কুকুর তেমন মুগুর-দুষ্টের যথার্থ শাস্তি।
যেমন বুনো ওল তেমনি বাঘা তেঁতুল- বড় অপরাধীর কঠিন শাস্তিদাতা।
যেমন হাঁড়ি তেমন সরা – যোগ্য পাত্রীর যোগ্য বর।
যে খাইছে সাত বার, তার জন্য ভাত বাড়, যে খায়নাই একবার, তার জন্য চাল ঝাড়-তেলা মাথায় তেল দেয়া।
যে নয় আমার অনুগত, কাইন্দা প্রেম বাড়াবা কত- যে তোমার কথা শোনে না বা যুক্তি মানে না তাকে উপদেশ দেয়া বৃথা ।
যে বনে যাই সে ফল খাই- বুদ্ধিমান ব্যক্তি পরিবেশের সাথে সহজে খাপ খাইয়ে চলে।
যে যেমন ঢেমনি জগত দ্যাখে তেমনি- যে সাধু সে মনে করে জগত সাধুময় তেমনি যে চোর তার দৃষ্টিতে সাধু খুজে পাওয়া দুরহ ।
যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে- নানা ধরনের কাজ নিয়েই জীবন।
লক্ষ্মীর ঘরে কালো পেচাঁ – সৌন্দর্যের মধ্যে কুৎসিতের অবস্থান কিংবা মঙ্গলের মধ্যে অমঙ্গলের ছায়া।
লাভের গুর পিঁপরেয় খায়- সামান্য লাভ করতে গিয়ে অন্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।
লাভের ধান টিয়ায় খায়- মুনাফা ও আনুষঙ্গিক খরচ সমান হলে।
লাল ঘরের ভাত খাওয়া- জেলে অবস্থান ।
লেবু কচলালে তিতা হয় – অতিরিক্ত কোন কিছু ভাল ন্য।
শকুনের চোখ ভাগারের দিকে- নীচ লোকের নজর নীচ স্বার্থের দিকে থাকে।
শত্রুর মুখে ছাই দেয়া- অনিষ্টকারীর আশা নির্মুল করা।
শরিরের নাম মহাশয়, যাহা সহাও তাহাই সয়- মানুষের শারীরিক ক্ষমতা তার চেষ্টার উপর নির্ভরশীল ।
শাক দিয়ে মাছ ঢাকা- ব্যর্থ চেষ্টা করা।
শিকারি বেড়াল গোঁফে চেনা যায়- হাবভাব দেখেই উদ্দেশ্য বোঝা যায়।
শিখণ্ডী খারা করা- কার্য উদ্ধারের জন্য কাউকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করা এবং তার আড়ালে থেকে কাজ হাসিল করা।
শিব গড়তে বাঁদর- ভালো করতে গিয়ে মন্দ করা।
শিয়ালের ডাক – অশুভ লক্ষণ।
শুয়োর বড় হলেও হাতি হয়না- আপন প্রকৃতিকে অতিক্রম করার সাধ্য কারো নেই।
শূন্য কলসি ঠন্‌ঠন্‌-বিদ্যাহীন লোকের বাকচাতুরী বেশি।
শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা/ শুঁটকির বাজারে বিড়াল চৌকিদার- খিয়ানতকারীর কাছে আমানত রাখা।
সব শিয়ালের এক রা – সবার এক কথা।
সস্তার তিন অবস্থা – সস্তা দামের জিনিস প্রায়ই খারাপ হয়ে থাকে।
সাঁতার না জানলে, বাপের পুকুরেও ডুবে মরে- অনভিজ্ঞ ব্যক্তি সুবিধাজনক স্থানে থাকলেও বিপদগ্রস্ত হয়।
সাত ঘাটের কানা কড়ি-অকিঞ্চিতকর সংগ্রহ।
সাত ঘাটের জল খাওয়া- নাজেহাল হওয়া।
সাধলে জামাই কাঁঠাল খায় না, পগারে গিয়ে কৈতি চাটে – পেটে ক্ষুধা মুখে লাজ।
সানাইয়ের পোঁ ধরা – অন্ধভাবে সমর্থন বা অনুকরণ করা।
সাপও মরে লাঠি ও না ভাঙ্গে- উভয়কূল রক্ষা করা। (১০তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
সাপের পাঁচপা দেখা- অহংকারে অসম্ভবকে সম্ভব মনে করা, অত্যন্ত স্পর্ধিত হওয়া।
সোজা আঙ্গুলে ঘি ওঠে না- জটিল কাজ সম্পাদনে কূটকৌশলের প্রয়োজন হয়।
সোনার কাঠি রূপোর কাঠি- মরা বাঁচার বা এক মাত্র উপায়।
হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রী – মূর্খ/অযোগ্য লোকের মূর্খ/অযোগ্য সঙ্গী।
হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না- বিচারকের রায়ই চূড়ান্ত।
হাট-বাজারে লজ্জা নাই, ঘড়ে ফুলের কুড়ি- নির্লজ্জ মানুষের লজ্জাশীলতার ভান করা।
হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলা- উপস্থিত সুযোগ ত্যাগ করা।
হাত দিয়ে হাতি ঠেলা- অসম্ভবকে সম্ভব করার বৃথা চেষ্টা।


👉 Read More...👇