প্রবাদ-প্রবচন ৫/৭

পাথরে পাঁচ কিল – অদৃষ্ট সুপ্রসন্ন ।
পানি ঘোলা করে মাছ শিকার করা – কৌশলে কার্য সিদ্ধি করা।
পান্তা ভাতে ঘি নষ্ট, বাপের বাড়ী ঝি নষ্ট- বিয়ের পরে মেয়েদের বাবার বাড়িতে দীর্ঘ দিন থাকা ঠিক নয়।
পাশের বাড়ী বিয়ালো গাই, সেই সুত্রে পাড়াতো ভাই- দূর সম্পর্কের আত্মীয় সম্পর্কে (তুচ্ছার্থে)এ কথা বলা হয়।
পায় না তাই খায় না-অভাবী মানুষের জিনিসের প্রতি কপট অনীহা প্রকাশ করা।
পিঁড়েয় বোসে পেরু/পোরের খবর- নগণ্য লোকের গুরুত্বপূর্ণ খবর রাখা।
পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে- পতনের পূর্বে বেশি রকমের বাড়াবাড়ি।
পিয়াদার আবার শ্বশুর বাড়ি – যার বিশ্রাম নেই তার আবার প্রমোদভ্রমণ।
পেটে খিদে চোখে লাজ- সংকোচ বশত মনের ইচ্ছা প্রকাশ না করা।
পেট কাটলে মশাও মরে, হাতিও মরে- বড় বিপদ ছোট-বড় সবার জন্য সমান বিপদজনক।
পড়িয়া বিপাকে গণেশ মাঝি গরু রাখে- বিপদে পড়ে স্বভাববিরুদ্ধ কাজ করতে বাধ্য হওয়া।
পয়সা নাই দুই আনা বউ চায় সেয়ানা- নিজের সামর্থ্য বা যোগ্যতার চেয়ে বেশী প্রত্যাশা করা।
ফেল কড়ি মাখ তেল – অর্থের বিনিময়ে ইচ্ছা পূরণ।
ফোঁপড়া ঢেঁকির শব্দ বেশি – অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী ।
বজ্র আটুনি ফস্কা গেঁরো- সতর্কতার মধ্যে অসতর্কতা।
বলং বাহু বলম – জোর যার মুল্লুক তার।
বাইরে কোঁচা লম্বা, ভেতরে অষ্টরম্ভা- বাইরে ফুটানি, ভিতরে ফাঁকা ও মিথ্যা আতম্ভরিতা ।
বাইরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট- বাইরে কেঁচোর পত্তন, ভেতরে ছুঁচোর কেত্তন।
বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা-শত্রুর ঘরে গোপনে অবস্থান।
বাঘে গরুতে এক ঘাটে পানি খায়- যোগ্য শাসনে বাদী বিবাদী উভয়ে ভীত।
বাঘে ছুলে আঠারো ঘা- দুষ্ট লোকের পাল্লায় পড়লে কিছু না কিছু ক্ষতি হবেই।
বাছা শাকে পোকা বেশী- বেশী মাত্রায় খুঁতখুঁতানি থাকলে ভালো কিছু আশা করা যায়না।
বাণিজ্যে বসতে লক্ষী – ব্যবসাই অর্থের প্রসূতি ।
বাতাসের সঙ্গে লড়াই করা- বিনা কারণে ঝগড়া করা।
বাতাসে পাতিয়া ফাঁদ, ধরে দিতে পারি চাঁদ- দুরুহ কার্য সম্পাদন করে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস।
বামন গেল ঘর তো লাঙ্গল তুলে ধর- কর্মচারীদের উপর দৃষ্টি না রাখলে তারা কাজ করে না।
বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এবারে তোমায় ঘুঘু বধিব পরান- খারাপ মানুষ বদমায়েশিতে বারবার সফল হলেও শেষ পর্যন্ত তার শাস্তি হয়।
বারো মাসে তেরো পার্বণ-সর্বদা অনুষ্ঠানের ঘটা।
বাড়া ভাতে ছাই দেওয়া- নিশ্চিত সাফল্য হাতছাড়া করে দেয়া।
বিষ খেয়ে বিশ্বম্ভর – সমুদ্রমন্থন জাত হলাহল অর্থাৎ বিষ পান করেছিলেন বলে শিবের আর এক নাম নীলকণ্ঠ। শিবের প্রসঙ্গেই প্রবাদটি রচিত।
বিড়ালের ভাগ্যে শিকা ছেঁড়া- আকস্মিক সুযোগ লাভ।
বিয়ে করতে কড়ি, ঘর বাঁধতে দড়ি- উপযুক্ত কাজে উপযুক্ত অনুষঙ্গ।
বুকের মাঝে ঢেঁকির পাড়- অন্তর্বেদনা।
বুকে বসে দাড়ি উপড়ানো- আশ্রয়দাতা বা প্রতিপালকের অনিষ্ট সাধন করা।
বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ- বৃদ্ধ বয়সে শিশু বা যুবকের মতো আচরণ করা।
বুদ্ধিমান পায় না কুল মূর্খ আসে পাড় পেতে- হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।
বোকার ফসল পোকায় খায়- নির্বোধেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বোঝার উপর শাকের আঁটি – অনেক কিছুর উপর সামান্য কিছু চাপানো।
বোবার শত্রু নেই- যে প্রতিবাদ করে না তার সঙ্গে বিবাদ হয় না।
ব্যাঙের আবার সর্দি- অবিশ্বাস্য ব্যাপার।
বড়র পিড়িতি বালির বাঁধ, ক্ষণেক হাতে দড়ি ক্ষনেক চাঁদ – উচু স্তরের সঙ্গে সম্বন্ধ ক্ষণস্থায়ী।
বড় গাছেই ঝড় লাগে – কর্তা ব্যক্তিকেই বিপদ আপদের দায় ভোগ করতে হয়।


👉 Read More...👇