প্রবাদ-প্রবচন ৩/৭

কিনতে ছাগল বেচতে পাগল – প্রয়োজন কোন যুক্তি তর্কের ধার ধারে না।
কিল খেয়ে কিল হজম- লোক লজ্জার ভয়ে নিরবে অপমান সহ্য করা।
কুকুরের পেটে ঘি সয় না- স্বভাব বিরুদ্ধ হলে ভালো জিনিস ও অপকারের কারণ হয়।
কোকিলের বউ ছেলে ধরতে জানে না- অনভিজ্ঞতার কথা বলতে। যেহেতু কোকিলের ডিম তা দিয়ে ছানা প্রতিপালন করে কাক।
খাই দাই কাঁসি বাজাই – নিষ্কর্মা জীবন যাপন। খাই দাই ডুগ ডুগি বাজাই- একই অর্থ।
খাস তালুকের প্রজা- খুব অনুগত ব্যক্তি।
খুঁটির জোড়ে ভেরা নাচে – শক্তিমানের সাহায্যে শক্তি বৃদ্ধি হয়।
খোদার উপর খোদকারী- দক্ষ লোকের কাজের উপর অদক্ষ লোকের হস্তক্ষেপ।
খোদার মার দুনিয়ার বার – প্রাকৃতিক কারণে যা ঘটে তা রোধ করার শক্তি মানুষের নাই।
খোশ খবরের মিথ্যা ও ভাল – ভাল খবর মিথা প্রতিপন্ন হলেও সুসংবাদ।
গঙ্গা জলে গঙ্গা পুজো-যার জিনিস তাকেই দান করা।
গলায় গামছা দেওয়া – মৃত্যু চাওয়া ।
গাছের খাওয়া তলারও কুড়ানো – সমুদয় আত্মসাৎ করা।
গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল- আয়ত্তে না আসতেই আড়ম্বর।
গাছে তুলে দিয়ে মই কেড়ে নেওয়া- উৎসাহ দিয়ে কর্মে প্রবৃত্ত করে অসহায় অবস্থায় সরে দাঁড়ানো।
গাছে না উঠতেই এক কাঁদি- কাজে অবতীর্ণ হওয়া মাত্রই ফল প্রাপ্তি।
গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো- দায়িত্ব গ্রহণের পরিবর্তে ঘুড়ে বেড়ানো।
ঘটি ডোবে না নামে তাল পুকুর – অক্ষমতা সত্ত্বেও বড়াই করা।
ঘরের মধ্যে ঘর জনে জনে হাওলাদার- ঘরের সবাই নিজেকে মাতব্বর মনে করে !
ঘষতে ঘষতে পাথরের ও ক্ষয় হয়- কোন জিনিসই চিরস্থায়ী নয়।
ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়া- বড় রকমের বিপদ থেকে উদ্ধার লাভা।
ঘাড়ের ভূত নামানো – দুর্বুদ্ধি ত্যাগ করা।
ঘুঁটে পোড়ে গোবর হাসে- স্বজাতীর কারো দুঃখে আনন্দ লাভ করা।
ঘুঘু দেখেছ ফাঁদ দেখনি – চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিন্তা করা, আনন্দের আড়ালে দুঃখের ইঙ্গিত, মন্দ লোককে জব্দ করা।
ঘোমটার নিচে খেমটা নাচ – বাইরে সাধু ভিতরে খল।
চাঁদেরও কলঙ্ক আছে- যোগ্য ব্যাক্তিরাও ত্রুটি মুক্ত নন।
চাল না চুলো ঢেঁকি না কুলো – নিতান্ত নিঃস্ব।
চুন খেয়ে গাল পোড়ে, দই দেখলে ভয় করে – ঘড়পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়।
চুরে চুরে আলি, এক চুরে বিয়া করলা আরেক চুরর হালি(শালি)- চোরে-চোরে মাসতুতো ভাই।
চেরাগ/প্রদীপের নিচে অন্ধকার- ভালো-মন্দ পাশাপাশি অবস্থান করে।
চোখ চায়, সে পায়, চোখ বোজে, সে হারায় – বেঁচে থাকলে সব পাওয়া যায়, মরেগেলে সব শেষ।
চোরের উপর বাটপারি- প্রতারককে প্রতারণা।
চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী- অসৎ লোককে উপদেশ দান বৃথা।
ছাই ফেলতে ভাঙ্গা কুলো – অপদার্থ ব্যক্তি যাকে হীন বা অপ্রীতিকর কাজে লাগানো হয়।
ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ- সামান্য প্রাপ্তির জন্য বড় ধরনের দুষ্কর্মে লিপ্ত হওয়া।
ছেঁড়া চুলে খোপা বাঁধা – পরকে আপন করার চেষ্টা, অসম্ভব কোন কিছু কল্পনা করা।
ছেলের হাতের মোয়া- ফাঁকি দিয়ে সহজে করায়াত্ত করা যায় এমন জিনিস।
ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি- ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব থেকে মুক্তি লাভের আকুলতা।
জলদি কাম(কাজ) শয়তানী, আস্তে কাম(কাজ) রহমানী- ধীরে-সুস্থে কাজ করা বাঞ্ছনীয়।
জাতে মাতাল তালে ঠিক- বিচার মানি তাল গাছটা আমার, স্বার্থসচেতন।
জামাই কৈন্যার দেখা নাই শুক্কুর বারে বিয়া – আগাম পরিকল্পনা।
জামা-জোব্বা বেশুমার আক্কল বিনা ছারখার- পোশাকের আড়ম্বর দ্বারা বুদ্ধির দৈন্য দূর করা যায়না।


👉 Read More...👇